মাধ্যাকর্ষণ এর নিয়ম ভাঙ্গার পরীক্ষা

পৃথিবীর মাটি থেকে যা ওপরের দিকে ওঠে, তাকে একটা না একটা সময়ে নেমে আসতেই হয়। এই নিয়ম মেনেই নদীর পানি নিচের দিকে ধাবিত হয়, মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয়, পানির ট্যাপ খুলে দিলে তা থেকে পানি পড়তে থাকে অনর্গল। কিন্তু এই পানিকে যদি মাধ্যাকর্ষণ এর বিরুদ্ধে ধরে রাখা যায়? তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে?

উপকরণ

এই মজার পরীক্ষাটির জন্য আপনার দরকার হবে-
১) একটি পানির গ্লাস (ওয়াইন গ্লাস ধাঁচের হলে ভালো হয়)
২) একটি পাতলা কাপড়ের রুমাল
৩) কাঁচের একটি বাটি
৪) পানি
ব্যাস, এটুকুই? এই অল্প কয়েকটি উপকরণ দিয়েই মাধ্যাকর্ষণ এর নিয়ম ভাঙ্গা যাবে? আসুন দেখি তা কিভাবে করা যেতে পারে।

প্রণালী

– গ্লাসের ওপরে রুমালটি রাখুন এবং তা গ্লাসের ভেতরে চেপে ঢুকিয়ে দিন (ভিডিওর মতো)
– এরপর গ্লাসের তিন-চতুর্থাংশ পানি দিয়ে ভর্তি করুন
– এরপর সাবধানে রুমালের কোনা টেনে বের করুন যাতে এটি গ্লাসের মুখের ওপর টানটান হয়ে বসে। রুমালটাকে গ্লাসের গায়ে পেঁচিয়ে নিন আলতো করে
– এরপর বাটির ওপর রুমালসহ গ্লাসটাকে উলটে দিন। এ সময়ে অল্প কিছুটা পানি পড়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই
– গ্লাসটাকে উল্টানোর পর গ্লাসের সাথে লেগে থাকা রুমাল সরালেই দেখতে পাবেন গ্লাস থেকে পানিটা পড়ছে না বরং তা রয়েছে স্থির হয়ে!

ব্যাখ্যা

গ্লাসটাকে সম্পূর্ণভাবে উল্টে দেবার পরেও পানি পড়ছে না, মাধ্যাকর্ষণ এর বিরুদ্ধে রয়ে গেছে গ্লাসের ভেতরেই। এটা কেন হলো? এর পেছনে কাজ করে পানির অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য। রুমালটিকে কেন গ্লাসের ভেতরে রেখে ভেজানো হলো বলুন তো? যাতে তা বায়ুনিরোধি হতে পারে। এই বায়ুনিরোধি রুমাল গ্লাসের মুখে আটকে থাকার কারণে বাতাস ভেতরে ঢুকতে পারে না ফলে পানিও বাইরে আসতে পারে না। ওপরের পানি আর নিচের বাতাসের চাপের ফলে ভেজা রুমাল জায়গামত আটকে থাকে এবং পানিটাও মাধ্যাকর্ষণ বল উপেক্ষা করে গ্লাসের ভেতরেই থেকে যায়।
প্রথমবার এই পরীক্ষাটি করতে গেলে হয়তো কারো কারো ভুল হতে পারে। গ্লাস উল্টানোর সময়ে বেশি কাত করে ফেললে পড়ে যাবে পুরো পানিটুকু। তাই অন্য কাউকে দেখানোর আগে অনুশীলন করে নিতে পারেন কয়েকবার।

Comments

Popular posts from this blog

Free download Electric circuit compiler - Electronics Workbench 5.12

Free Bengali Dictionary(ফ্রি ডাউলোড করুন বাংলা ডিকশনারী সফটওয়্যার)